,

হবিগঞ্জে নিবন্ধনহীন পপুলার হাসপাতালে নার্স দিয়ে সিজার :: এমডি তারেকের জেল-জরিমানা

জুয়েল চৌধুরী : হবিগঞ্জে চিকিৎসার নামে চলছে গলাকাটা বাণিজ্য। পাশাপাশি অনেক প্রাইভেট হাসপাতালের নেই কোনো কাগজপত্র। আবার কোনোটি মেয়াদোত্তীর্ণ। এরপরও তাদের অবৈধ চিকিৎসা কার্যক্রম থেমে নেই। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে সিভিল সার্জনের নজরে আসে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য প্রশাসনের উদ্যোগে চিকিৎসক ছাড়াই অপারেশনের দায়ে নিবন্ধনহীন নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার দি পপুলার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক আজিজ খানকে ৭ দিনের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল অভিযান শেষে এ দণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আসাদুল হক।
সিভিল সার্জন কার্যালয় ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, নিয়মিত তদারকির অংশ হিসেবে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নূরুল হকের নেতৃত্বে পপুলার জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তারা দেখতে পান, চিকিৎসক ছাড়াই নার্সের মাধ্যমে এক গৃহবধূর সিজারিয়ান অপারেশন চলছে। তাছাড়া শহরের অনেক নামীদামি ডাক্তারের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে অন্য ডাক্তার কিংবা নার্স দিয়েই অপারেশন চলতো ওই হাসপাতালে।
পরে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ সার্জন এনে হাসপাতালে অপারেশন সম্পন্ন করান সিভিল সার্জন। বিকালে নিবন্ধন না থাকা এবং চিকিৎসক ছাড়া অপারেশনের দায়ে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক আজিজ খানকে পৃথক দু’টি ধারায় ৭ দিনের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করে সদর থানার এসআই ওয়াহেদ গাজীসহ একদল পুলিশ।
সিভিল সার্জন জানান, অভিযান তাদের নিয়মিতভাবে চলবে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।


     এই বিভাগের আরো খবর